বাইক চালানো যতটা আনন্দদায়ক, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও যানবাহনের যত্ন নেওয়া। বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রায় বাইক একটানা কতক্ষণ চালানো উচিত, এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জাগে। টু হুইলার বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইকের ধরন এবং চালকের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এই সময়কাল। সাধারণত ১০০-১৫০ সিসি বাইকের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টা চালানোর পর ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত। দীর্ঘ যাত্রায় ১০০ কিমি অন্তর বিশ্রাম নেওয়া স্বাস্থ্যকর। এর ফলে ইঞ্জিন ও চালক দুজনেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
বিস্তারিত:
ভারতে বাইকের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। শহর থেকে গ্রাম, সব জায়গায় বাইকই যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। তবে বাইক চালানোর আনন্দে মগ্ন হয়ে অনেকেই যানবাহনের যত্ন নিতে ভুলে যান। বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রায় বাইক একটানা কতক্ষণ চালানো উচিত, এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জাগে।
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইকের ধরন এবং চালকের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এই সময়কাল। সাধারণত ১০০-১৫০ সিসি বাইকের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টা চালানোর পর ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ১৫০ সিসি-এর বাইক হলে টানা সর্বোচ্চ ১০০ কিমি পর্যন্ত চালানো যায়। তারপর ১০ মিনিট বিশ্রাম দিতে হবে।
বিরতি নেওয়ার গুরুত্ব:
- ইঞ্জিনের জন্য: দীর্ঘক্ষণ একটানা চালানোর ফলে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, যা ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
- চালকের জন্য: দীর্ঘক্ষণ বাইক চালানোর ফলে ঘাড়, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে:
দীর্ঘ যাত্রায় ১০০ কিমি অন্তর বিশ্রাম নেওয়া স্বাস্থ্যকর। এর ফলে ইঞ্জিন ও চালক দুজনেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
- বাইকের গতি ৫০-৬০ কিমি/ঘণ্টার মধ্যে রাখা উচিত।
- চালক এবং বাইক যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় তাহলে একদিনে অনায়াসে ২০০ থেকে ২৫০ কিমি যাত্রা করা যায়।
বাইক চালানো অবশ্যই আনন্দদায়ক, তবে নিরাপত্তা ও যানবাহনের যত্ন নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চললে আপনি নিরাপদে আরামদায়ক যাত্রা উপভোগ করতে পারবেন।