১৪ই ফেব্রুয়ারি, একটি দ্বিধাবিভক্ত দিন। একদিকে ভালোবাসা দিবসের রঙিন আলো, আবার অন্যদিকে পুলওয়ামা সন্ত্রাসী আক্রমণের ক্ষতের জ্বালা। এই দিনটিতে আমাদের মনে একসঙ্গে জাগে প্রেমের মধুরতা ও হিংস্রতার তিক্ততা।
ভালোবাসা দিবসের উৎসব:
১৪ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিমা দুনিয়ায় প্রাচীনকাল থেকেই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। প্রেমের রোমান দেবতা ‘কুপিড’কে উৎসর্গীকৃত এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব সকলেই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে। ফুল, চকলেট, গ্রিটিং কার্ডের আদান-প্রদান, রোমান্টিক ডিনার, সিনেমা দেখা ইত্যাদি নানা আয়োজনে মুখরিত হয় এই দিনটি।
পুলওয়ামা আক্রমণের কালো দাগ:
২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর ৪০ সৈন্য শহীদ হন। এই জঘন্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপে গোটা দেশ শোকাহত ও ক্ষুব্ধ হয়। নিহতদের পরিবারের চোখের জল, দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া।
এক দিন, দুই ভাবনা:
১৪ই ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে দুই বিপরীত ভাবনা জাগিয়ে তোলে। একদিকে ভালোবাসা, সহমর্মिता, আনন্দের বার্তা দেয় ভালোবাসা দিবস, আবার অন্যদিকে সন্ত্রাস, হিংসা, জাতীয়তাবাদের কালো ছায়া ফেলে পুলওয়ামা আক্রমণের স্মৃতি। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ভালোবাসাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে। সকল বিভেদ, সকল সীমানা উতরে গিয়ে মানবিকতা, शांति ও ভালোবাসা বজায় রাখাই আমাদের লক্ষ্য।
আসুন, এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার সাথে সঙ্গী করি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠা করি শান্তির এক সুন্দর ভবিষ্যৎ।