ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (NMC) এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নতুন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স চালু হতে চলেছে।
ভারতের চিকিৎসা শিক্ষায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নতুন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স চালু করার অনুমতি দিয়েছে। এমডি, এমএস, ডিএম, এমসিএইচ, পিডিএফ, পিডিসিসি এবং ৬ বছরের ডিএম-এমসিএইচ প্রোগ্রামের মতো নতুন কোর্সগুলিকে এই নীতির আওতায় আনা হয়েছে।
কী বলছে নতুন নির্দেশিকা?
এই নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, যেসব মেডিক্যাল কলেজ এই নতুন কোর্স চালু করতে চায় তাদের প্রথমে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এরপর তাদের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। ফি জমা দেওয়া সহ অন্যান্য যে সমস্ত নিয়মকানুন রয়েছে তা মেনে চলতে হবে। এই আলোচনার একটা বড় লক্ষ্য হল এই কোর্স করার ক্ষেত্রে যে যোগ্যতামান লাগবে সেটা যেন ঠিকঠাক থাকে। একবার এনিয়ে অনুমোদন মেলার পরে ইনস্টিটিউশনকে নতুন প্রস্তাব জমা দিতে হবে। তার মধ্যে ফি কেমন হবে সেটাও জানাতে হবে।
কোন কোন নতুন বিষয় চালু হতে পারে?
এই নতুন নীতির ফলে ভারতে কয়েকটি নতুন বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ক্লিনিকাল অ্যালার্জোলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি, নিউরো এন্ডোক্রিনোলজি, প্যালিয়াটিভ মেডিসিন এবং নিউরোসাইকোলজি। এই বিষয়গুলিতে ভারতে বর্তমানে পিজি ডিপ্লোমা হয়। বিদেশে এই বিষয়গুলিতে এমএসসি বা পিএইচডি হয়।
- ক্লিনিকাল অ্যালার্জোলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি: এই কোর্সে অ্যাসমা, অ্যালার্জিক ব্যাপার সহ নানা বিষয়ের উপর ফোকাস করা হয়।
- নিউরো এন্ডোক্রিনোলজি: এই কোর্সে নার্ভাস ও এনডোক্রাইন সিস্টেমের উপর ফোকাস করা হয়।
- প্যালিয়াটিভ মেডিসিন: এই বিষয়ের মধ্যে পেন ম্যানেজমেন্ট, সাইকোলজিকাল সাপোর্টের মতো বিষয় পড়ে।
- নিউরোসাইকোলজি: এই বিষয়ের মধ্য়ে নিউরো সাইকোলজিকাল রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়টি পড়ে।
কেন এই নতুন নীতি গুরুত্বপূর্ণ?
এই নতুন নীতি ভারতীয় চিকিৎসা শিক্ষায় এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এর ফলে,
- ভারতীয় চিকিৎসকরা বিশ্বমানের শিক্ষালাভ করার সুযোগ পাবেন।
- দেশে নতুন নতুন চিকিৎসা বিষয়ের উন্নয়ন হবে।
- রোগীরা আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে।
এই নতুন নীতি কার্যকর হলে ভারতের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের হয়ে উঠবে। তবে এর জন্য সকলের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মেডিক্যাল কলেজগুলিকে যোগ্য শিক্ষক, আধুনিক ল্যাবরেটরি এবং সুসজ্জিত হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারকেও এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে।