কেরলে শিক্ষায় নতুন যুগ: ইমোজি আর স্টারে মূল্যায়ন!
কেরলের স্কুলে শিক্ষায় এক নতুন যুগের সূচনা। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন এবার হবে ইমোজি আর স্টারের মাধ্যমে! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন।
২০২০ সালের নতুন শিক্ষানীতির নির্দেশিকা মেনে এই নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কোচির অনেক সিবিএসই স্কুল ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
কীভাবে কাজ করবে এই নতুন পদ্ধতি?
- নম্বরের জায়গায় ইমোজি আর স্টার: কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আর নম্বর দেওয়া হবে না। তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বিভিন্ন ইমোজি আর স্টারের মাধ্যমে।
- লিখিত পরীক্ষার উপর জোর কম: লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের সারা বছরের কাজকর্ম, স্বাস্থ্য, আচার-আচরণ, কথা বলার দক্ষতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে।
- শিক্ষার্থীদের স্ব-মূল্যায়ন: শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারবে।
- সহপাঠী ও অভিভাবকদের মতামত: শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে সহপাঠী ও অভিভাবকদের মতামতও মূল্যায়নের একটি অংশ হবে।
- পঠনপাঠনে নতুন পদ্ধতি: গণিত ও পরিবেশ শিক্ষায় বোর্ড গেমের ব্যবহার বাড়ানো হবে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও জোর দেওয়া হবে।
এই নতুন পদ্ধতির সুবিধা
- চাপ কম: পরীক্ষার চাপ কমে যাবে।
- সমাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি: শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
- সার্বিক উন্নয়ন: শুধু একাডেমিক নয়, শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।