বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা লুটের মূল চক্রী সুব্রত! ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ!
বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানতের টাকা লুটের মূল চক্রী ধৃত! পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতের নাম সুব্রত দাস।
অভিযোগ:
- সুব্রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ভক্ত মণ্ডল ও আরও কয়েকজনের সাথে মিলে জাল নথি তৈরি করেছিলেন।
- জাল সই ও নথি তৈরির বড় চক্রের সঙ্গে সুব্রতর যোগ রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত ভেঙে অন্য অ্যকাউন্টে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৭৬ টাকা পাঠানোর অভিযোগ।
- কল্যাণীর একটি সংস্থাকে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
- যাদবপুরের একটি শাখায় তিনবারে ধৃতের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
ধৃতকরণ ও জামিন:
- মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর থেকে সুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়। নদিয়ার কল্যাণীতে তাঁর বাড়ি, বর্তমানে থাকেন যাদবপুর থানার চিত্তরঞ্জন কলোনিতে, কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে জামিনের এজলাসে সওয়াল করেননি। এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত শেখ এমানুল হককে বিচারক শর্তাধীন জামিন দেন।
- বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
বাজেয়াপ্তি:
সুব্রতর কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও মোবাইল, আধার কার্ড, প্যান কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে, আদালতে ঢোকার পথে সুব্রতর দাবি, “আমাকে কেন ধরে আনল বুঝতে পারছি না।”
পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ধৃতের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কোথায় কোথায় পাঠানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: দু কোটি টাকা গায়েব