বাঘাঙ্কি গাছ: গাঁটের যন্ত্রণা নিরাময়ের অতুলনীয় উপকারিতা
শরীরের গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, ঝোপে ঝাড়ে বেড়ে ওঠা এই গাছের কাঁটার খোঁচাতেই পালাবে! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে পাওয়া যায় এমন একটি বিশেষ ঔষধি গাছ, যার গুরুত্ব এখানকার অনেকেই জানেন না। কিন্তু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, এই গাছটির নানা উপকারিতা রয়েছে।
বাঘাঙ্কি গাছ: এক নজরে
- পরিচয়: এই গাছটি মূলত তার পাতা এবং কাঁটার জন্য পরিচিত, যেগুলি শরীরে হঠাৎ লাগলে তীব্র ব্যথার অনুভূতি হয়। তবে, এটি বীচু গাছ বা বাঘাঙ্কি নামেও পরিচিত, এবং এর বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
- উপকারিতা:
- জয়েন্ট পেইন: বাঘাঙ্কির কাঁটাযুক্ত পাতা দিয়ে কাথ তৈরি করে তা হাঁটুর ব্যথা বা অন্যান্য জয়েন্টে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
- সর্দি-কাশি: গাছের পাতা ও বীজ চা বা পেস্টের মাধ্যমে খেলে সর্দি-কাশি দূর হয়।
- ত্বকের অ্যালার্জি: বাঘাঙ্কির পাতা ভিটামিন A, C, আয়রন, প্রোটিন এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি ত্বকের অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
- শক্তি বৃদ্ধি: এর বীজ এবং নির্যাস শরীরে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে, যা আমাদের শক্তি বাড়াতে কার্যকর।
- ইমিউনিটি: গরম জলে বাঘাঙ্কির পাতা দিয়ে চা তৈরি করলে শীতকালে শরীরকে ভাইরাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
- অন্যান্য: এটি গ্রামীণ এলাকাগুলিতে স্বাভাবিকভাবে জন্মে এবং এখন এর ঔষধি ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করার পাশাপাশি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আরসি দ্বিবেদী জানিয়েছেন যে, বাঘাঙ্কি গাছের নানা অসুখের প্রতিকারে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর অ্যান্টি-অ্যাস্থম্যাটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে, যা হাঁপানি রোগীদের উপকারে আসে।