মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় উচ্ছ্বাস, কিন্তু প্রশ্নও উঠছে
পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ মানুষের জন্য নতুন করে আশার সঞ্চার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলা আবাস যোজনা’ নামে নতুন একটি আবাসন প্রকল্পের ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি পাবেন। প্রতিটি পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে।
কেন্দ্রের টাকা না পেয়ে রাজ্যের উদ্যোগ:
কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ায় রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবের আমেজ চলছে। তবে, এই প্রকল্প নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠছে।
কোষাগারের চাপ:
রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা যে খুব সুদৃঢ় নয়, তা সবারই জানা। এমন অবস্থায় এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের মনে।
দুর্নীতির আশঙ্কা:
এত বড় পরিমাণের টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির আশঙ্কাও রয়েছে। রাজ্য সরকার দাবি করেছে যে, এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। তবে, জনসাধারণের মধ্যে এই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রাজনৈতিক লাভ:
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক লাভ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামীণ ভোটারদের মন জয় করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সুবিধাভোগীদের জন্য শর্তাবলী:
বাংলা আবাস যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য কিছু শর্তাবলী রয়েছে। যেমন,
- যেমন, পরিবারের কারো সরকারি চাকরি থাকলে, বাড়িতে গাড়ি থাকলে বা আয়কর দিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
- যাদের আড়াই একর এর বেশি সেচযুক্ত কৃষি জমি বা ৫ একর এর বেশি অসেচযুক্ত কৃষি জমি রয়েছে তারাও বাড়ির টাকা পাবে না।
আগামী পথ:
আগামী দিনে এই প্রকল্প কতটা সফল হয়, তা দেখার অপেক্ষা রয়েছে। তবে, একটি বিষয় স্পষ্ট যে, এই প্রকল্প গ্রামীণ বাংলার রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
মূল কথা:
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় গ্রামীণ বাংলায় আশার সঞ্চার হলেও, এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের ফলাফল কী হবে, তা দেখার অপেক্ষা রয়েছে।