রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১৯ সালে চালু করা নতুন নিয়োগ মডেল বাতিল করে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে রেলের নতুন অফিসার নিয়োগের জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা (CSE) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস পরীক্ষা (ESE) দিতে হবে।
কেন এই পরিবর্তন?
২০১৯ সালে চালু করা নতুন নিয়োগ মডেলের মাধ্যমে রেলের বিভিন্ন বিভাগকে একীভূত করে ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস’ (IRMS) গঠন করা হয়েছিল। এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন অফিসার নিয়োগে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোর জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে অবসরপ্রাপ্তদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কীভাবে নিয়োগ করা হবে?
এখন থেকে রেলের অফিসার নিয়োগের জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা (CSE) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস পরীক্ষা (ESE) দিতে হবে। এই দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীরা রেলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।
কবে থেকে চালু হবে এই নতুন নিয়ম?
২০২৫ সাল থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হবে। ইতিমধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস পরীক্ষা (ESE) এর জন্য আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ধার্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০১৯ সালের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন করা হয়নি। তবে রেলওয়ে আধিকারিকদের মতে, পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বড় ধরনের ‘ইউ-টার্ন’ নিয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে কী হবে?
এই পরিবর্তনের ফলে রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন অফিসার নিয়োগ করা সম্ভব হবে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এই পরিবর্তনের ফলে রেলের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা কঠিন হতে পারে।