ইউপিআই লেনদেনকে আরও নিরাপদ করার লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনা বা মুখের বৈশিষ্ট্যের মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই করা হবে। এটি পাসওয়ার্ড বা পিনের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।
বিস্তারিত:
- বর্তমান সমস্যা: ইউপিআই লেনদেনে পাসওয়ার্ড বা পিন ব্যবহারের ফলে জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে চলেছে। হ্যাকাররা সহজেই পাসওয়ার্ড বা পিন চুরি করে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করতে পারে।
- বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের সুবিধা:
- অনন্যতা: প্রত্যেক ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ডেটা অনন্য হওয়ায় এটি নকল করা অসম্ভব।
- সুবিধা: জটিল পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি।
- নিরাপত্তা: লেনদেনকে আরও নিরাপদ করে তোলে।
- বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের অসুবিধা:
- প্রযুক্তিগত সমস্যা: ছবির গুণমান বা পরিবেশগত অবস্থার কারণে লগ ইন করতে সমস্যা হতে পারে।
- ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা: বায়োমেট্রিক ডেটা হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সমস্যা: শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বায়োমেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
উপসংহার:
বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ইউপিআই লেনদেনকে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারে। তবে এই ব্যবস্থা চালু করার আগে প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
মূল কথা:
বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ইউপিআই লেনদেনের ভবিষ্যৎ। তবে এই প্রযুক্তি সবার জন্য কতটা উপযোগী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।