তৃতীয় বার দিল্লি দখলের পর আজ ১লা ফেব্রুয়ারী শনিবার সংসদে দ্বিতীয় বাজেট পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের নজর এখন অর্থমন্ত্রীর দিকে। আয়করে বড়সড় কোনও পরিবর্তন আসবে কিনা, সেই আলোচনাই এখন সর্বত্র। গত কয়েক বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত মধ্যবিত্ত মানুষ চাইছে, এবারের বাজেটে তাদের জন্য কিছু সুসংবাদ থাকুক।
বিভিন্ন মহল থেকে একাধিক প্রস্তাব উঠে এসেছে। অনেকের মতে, আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন আনা উচিত। বর্তমানে যে কাঠামো রয়েছে, তাতে অনেক ক্ষেত্রেই করের বোঝা বেশ বেশি। স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করে যদি করের হার কমানো যায়, তাহলে মধ্যবিত্তের হাতে কিছুটা বেশি টাকা থাকবে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বাড়ানোর দাবিও উঠেছে। বর্তমানে এই ছাড় ৫০ হাজার টাকা। এই অঙ্কটা অনেকটাই কম, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা মনে করেন, এই ছাড়ের পরিমাণ বাড়ালে করদাতাদের সুবিধা হবে।
section 87A রিবেটের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথাও শোনা যাচ্ছে। এই রিবেট মূলত কম আয় সম্পন্ন মানুষদের জন্য। যদি এর পরিমাণ বাড়ানো হয়, তাহলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।
মধ্যবিত্তের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও তাকিয়ে আছেন এই বাজেটের দিকে। তাঁরা আশা করছেন, তাদের জন্যেও কিছু বিশেষ ঘোষণা থাকতে পারে।
তবে, সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার পরই সব জল্পনার অবসান হবে। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত মধ্যবিত্তের আশা একটাই – তাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছুটা সুরাহা হোক এই বাজেটে।