উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রেই পুলিশের শিবির, পরীক্ষার্থীদের চিন্তা বেড়েছে
সন্দেশখালি: উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশের শিবির স্থাপনের ফলে পরীক্ষার্থীদের চিন্তা বেড়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষও পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করতে না পেরে হতাশ।
বৃহস্পতিবার থেকে সন্দেশখালির গ্রামবাসী এবং বিশেষ করে মহিলারা ক্ষেপে উঠেছেন। তাতে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মীদের থাকার জন্য থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তিনটি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি রাধারানি হাইস্কুল। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই স্কুলেই শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা।
এই স্কুলে ৭২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশ থাকার জেরে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করতে না পারায় চিন্তিত।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দীপ বর্মণ বলেছেন, “সামনে সরস্বতী পুজো। তার একদিন পরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। কেমন করে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করার কাজ শেষ হবে এবং ৭২০ জন পরীক্ষার্থী এখানে এসে বসে পরীক্ষা দেবে জানি না। সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল পুলিশ থাকার জেরে।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশ–প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও আশ্বাস পাচ্ছেন না। বিডিও (সন্দেশখালি ২) অরুণকুমার সামন্ত বলেন, “পরীক্ষার আগে আশা করা যাচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু পরীক্ষার্থীরা এই আশ্বাসে তেমন আস্থা রাখতে পারছেন না। তাদের চিন্তা, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তারা কি ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারবে?