আয়কর নোটিস: ব্যাঙ্কে বেশি টাকা রাখলেই আসবে নোটিস! জেনে নিন কেন
ভূমিকা:
আজকাল আয়কর বিভাগের নজরদারি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মনে একটা প্রশ্ন জাগে, ব্যাঙ্কে কত টাকা রাখা নিরাপদ? আয়কর বিভাগের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা জমা থাকলে আয়কর বিভাগ নোটিস পাঠাতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার নগদ লেনদেনের উপর সীমা বেঁধে দিয়েছে, যার ফলে মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ, সম্পত্তি কেনাবেচা, শেয়ার কেনাবেচা ইত্যাদি সব কিছুই আয়কর বিভাগের নজরদারিতে আসছে।
মূল খবর:
- সেভিংস অ্যাকাউন্ট: এক অর্থবর্ষে সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকার বেশি জমা বা লেনদেন করা যাবে না। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০ লাখ টাকা। একক লেনদেনে ২ লাখ টাকার বেশি জমা বা তোলা যাবে না।
- ফিক্সড ডিপোজিট: ফিক্সড ডিপোজিটেও বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করলেও মোট পরিমাণ ১০ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।
- ক্রেডিট কার্ড: ক্রেডিট কার্ড বিলের জন্য বার্ষিক ১ লক্ষ টাকার বেশি নগদ অর্থ প্রদান এবং সব ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নগদ ছাড়া ১০ লক্ষ টাকার বেশি পরিশোধ আয়কর বিভাগের নজরদারিতে আসে।
- সম্পত্তি কেনাবেচা: ৩০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি কিনলে ক্রেতাকে অবশ্যই অর্থের উৎস জানাতে হবে। শহুরে এলাকায় এই সীমা ৫০ লক্ষ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় ২০ লক্ষ টাকা।
কেন এই নিয়ম?
আয়কর ফাঁকি এবং টাকা পাচার রোধ করতেই এই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে লেনদেনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে।
কী করবেন?
- আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় এই ধরণের লেনদেনের কথা অবশ্যই উল্লেখ করুন।
- নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রেখে লেনদেন করুন।
- অর্থের উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্য রাখুন।