ভোটের দিন ঘোষণার পরও চলছে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ। ফর্ম ফিলাপের তদারকি করছে স্থানীয় তৃনমূল নেতারা। এবং যে সমস্ত উপভোক্তারা ফর্ম ফিলাপ করতে আসছেন তাঁদের ফর্ম ফিলাপ করে দিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা বলে অভিযোগ ।
গলসি ১ নং ব্লকের উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কোলকোল শিশু শিক্ষা নিকেতনে চলছে জোর কদমে ফর্ম ফিলাপের কাজ। ভোট ঘোষণার পরেও কেন এমন কাজ ? এবং কেন উপভক্তাদের কাছে টাকা নেওয়া হচ্ছে? এমনই প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি ।
গলসী ১ ব্লকের উচ্ছগ্রাম পঞ্চায়েতের কোলকল সরকারি স্কুলে বসে তৃণমূলের সিম্বল সাথে জয় বাংলা লেখা ফর্ম ফিলাপ করছেন খোদ তৃণমূল নেতারা। কিন্তু কার নির্দেশে চলছে এই কাজ? কার নির্দেশই বা টাকা নেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না পরিষেবা দিতে বসা কেউই।
তবে জানা গেছে দুইদিন আগেই কর্মশ্রী প্রকল্পের ৫০ দিনের কাজের জন্য এবং লক্ষীর ভান্ডারের ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পাওয়ার জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে হবে বলে এলাকায় মাইকিং করছেন গলসি ১ নং ব্লকের উচ্চগ্রামের অঞ্চলের অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি নিখিল রায়। মুলত তারই নির্দেশ ওই কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্যা দুলালী বাউরি।
এ বিষয়ে ওই অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি জানান তিনি নাকি কিছুই জানেন না, কে বা করা টাকা নিয়ে কাজ করছে তা কিছুই জানেন না তিনি। ওপর দিকে ফর্ম ফিলাপ করতে আসা মানুষজন জানাচ্ছেন টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ওই স্কুল প্রাঙ্গনেই এক তৃণমূল বলেন টাকা নেওয়া হচ্ছে , যাঁরা ফর্ম ফিলাপ করে দিচ্ছে তাদের পারিশ্রমিকের জন্য।