HomeState Newsকৃষকদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা: বিস্তারিত জানুন এবং আবেদন করুন

কৃষকদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা: বিস্তারিত জানুন এবং আবেদন করুন

WhatsApp Group Join Now

শিরোনাম: কৃষকবন্ধুরা, আপনাদের জন্য সুখবর! মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা পাওয়ার সুযোগ

কৃষক ভাতা (Krishak Bhata)

আপনাদের কৃষিকাজের প্রতি অবদানের জন্য সরকার আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নতুন একটি উদ্যোগে, সকল কৃষককে মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ভাতা আপনাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং কৃষিকাজে আরও বেশি মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

কৃষক ভাতা প্রাপ্যতার শর্তাবলী:

.সাধারণ কৃষকদের জন্য ৬০ বছরের এবং তপশিলি জাতি/উপজাতির ক্ষেত্রে ৫৫ বছরের বেশি বয়স হতে হবে।  পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১০ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে।

জমির মালিকানা:

.জমির পরিমাণ এক একরের নিচে এবং বর্গাকার জমির পরিমাণ 2 একরের নিচে হতে হবে।

অন্য ভাতা প্রাপ্তি:

কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা অন্য কোন ভাতা পেলে এই ভাতা পাবে না। ভূমিহীন ক্ষেত মজুররাও খাতার অধীনে আসতে পারবেন।

কৃষক ভাতা ফর্ম সংগ্রহ

কৃষক ভাতার ফর্ম আপনি স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিসে সুকুমার সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে জেলা কৃষি অধিকর্তার অফিসে পেয়ে যাবেন। অনলাইন থেকে এই ফর্ম ডাউনলোড করতে হলে মাটির কথা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নেবেন।

আবেদন ফর্ম পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, পিতার/স্বামীর নাম, বয়স এবং যদি কোন শারীরিক অক্ষমতা থাকে তার প্রমাণপত্র।
  • ঠিকানা: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, গ্রাম, পোস্ট অফিস, থানা, ব্লক, জেলা ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • পরিচয়পত্র: ভোটার কার্ড নম্বর বাধ্যতামূলক এবং চাইলে আধার কার্ড নম্বরও দেওয়া যেতে পারে।
  • অর্থনৈতিক অবস্থা: জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, চাষযোগ্য জমির বিবরণ এবং বর্তমানে চাষাবাদ করছেন কিনা সেটি উল্লেখ করতে হবে।
  • পারিবারিক অবস্থা: পরিবারের সদস্যদের নাম, বয়স, পেশা, তাদের আয় এবং আবেদনকারীর সঙ্গে সম্পর্ক উল্লেখ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:

  • বয়সের প্রমাণপত্র: আবেদনকারীর বয়স নিশ্চিত করার জন্য।
  • বিকলাঙ্গতা বা পঙ্গুত্বের প্রমাণ: যদি আবেদনকারী বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু হন, তবে উপযুক্ত প্রমাণপত্রের কপি (যেমন ভোটার কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ডের কপি) জমা দিতে হবে।
  • জমির পর্চার কপি: বর্তমান নিজস্ব জমির পর্চার জেরক্স কপি।
  • কৃষি কার্যক্রম: আবেদনকারী নিজ হাতে চাষ করেন কিনা এবং বর্তমানে কৃষি প্রমিক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে কত বছর বাস করছেন, তা নিশ্চিত করার জন্য তথ্য।
  • স্থানীয় অঞ্চল প্রধানের সার্টিফিকেট: স্থানীয় অঞ্চলের প্রধানের কাজের সার্টিফিকেট।
  • জাতি/উপজাতির প্রমাণ: যদি আবেদনকারী জাতিকে উপজাতি হন, তবে উপযুক্ত প্রমাণপত্রের জেরক্স কপি।
  • ভাতা গ্রহণের প্রমাণ: কেন্দ্র বা রাজ্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের মাধ্যমে অন্য কোনো সংস্থা থেকে ভাতা গ্রহণের প্রমাণ, যেমন স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের শংসাপত্র।
  • সাক্ষরের প্রমাণ: শনাক্তকরণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত বা অঞ্চল প্রধানের সিলমোহর সহ পূর্ণ স্বাক্ষর।

রেফারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • স্থানীয় গ্রামপ্রধানের সিলমোহর সহ পূর্ণ স্বাক্ষর।
  • BL&LRO রেভিনিউ অফিসার/রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের স্বাক্ষর সহ সীলমোহর।
  • ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের সিলমোহর সহ স্বাক্ষর।
  • পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সিলমোহর সহ স্বাক্ষর।

ফর্ম জমা দেওয়ার স্থান:

ফর্ম পূরণের পর, তা আপনার স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিস অথবা মহাকুমা বা জেলা অফিসে জমা দিতে হবে।

 

 

WhatsApp Group Join Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular