বোলপুর ও রামপুরহাটে বন্দে ভারত: আরও দ্রুত যাতায়াতের নতুন দ্বার উন্মুক্ত
বোলপুর শান্তিনিকেতন ও রামপুরহাটের যাত্রীদের জন্য আনন্দদায়ক খবর! হাওড়া-ভাগলপুর-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বাণিজ্যিক পরিষেবা আজ থেকে শুরু হয়েছে। এই নতুন ট্রেনের সুবাদে, বোলপুর ও রামপুরহাটের যাত্রীরা আরও দ্রুত ও আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলবে এবং হাওড়া, বোলপুর, রামপুরহাট, দুমকা, ননিহাট, হাঁসডিহা, মান্দার হিল, বরাহাট ও ভাগলপুর স্টেশনে দাঁড়াবে।
বিস্তারিত:
এতদিন শুধুমাত্র হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসই বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে দাঁড়াত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল হাওড়া-ভাগলপুর-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। শুধু তাই নয়, রামপুরহাট স্টেশনেও দাঁড়াবে। ফলে বন্দে ভারতে চেপে তারাপীঠে যেতে পারবেন।
ট্রেনের সময়সূচি:
- হাওড়া-ভাগলপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (ট্রেন নং 22309): সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে সকাল ৯ টা ২৭ মিনিটে বোলপুর শান্তিনিকেতনে পৌঁছাবে। রামপুরহাটে পৌঁছাবে সকাল ১০ টা ২৩ মিনিটে। সকাল ১১ টা ২৩ মিনিটে দুমকায় পৌঁছাবে। ননিহাটে পৌঁছাবে সকাল ১১ টা ৪৭ মিনিটে। বেলা ১২ টা ৫ মিনিটে পৌঁছাবে হাঁসডিহায়। মান্দার হিলে বেলা ১২ টা ২৭ মিনিটে পৌঁছাবে। বেলা ১২ টা ৪৩ মিনিটে পৌঁছাবে বরাহাটে। আর ভাগলপুর পৌঁছাবে দুপুর ২ টো ৫ মিনিটে।
- ভাগলপুর-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (ট্রেন নং 22310): দুপুর ৩ টে ২০ মিনিটে ভাগলপুর থেকে ছাড়বে। বরাহাটে পৌঁছাবে দুপুর ৩ টে ৪৫ মিনিটে। মান্দার হিলে পৌঁছাবে দুপুর ৩ টে ৫৮ মিনিটে। বিকেল ৪ টে ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে হাঁসডিহায়। ননিহাটে বিকেল ৪ টে ৫৭ মিনিটে পৌঁছাবে। দুমকায় পৌঁছাবে বিকেল ৫ টা ১৮ মিনিটে। সন্ধ্যা ৬ টা ১৩ মিনিটে পৌঁছাবে রামপুরহাটে। বোলপুর শান্তিনিকেতনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬ টা ৫১ মিনিটে পৌঁছাবে। রাত ৯ টা ২০ মিনিটে হাওড়ায় ঢুকবে।
স্টেশনগুলি:
হাওড়া, বোলপুর শান্তিনিকেতন, রামপুরহাট, দুমকা, ননিহাট, হাঁসডিহা, মান্দার হিল, বরাহাট ও ভাগলপুর।
বিশেষ তথ্য:
- ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলবে।
- প্রতিটি স্টেশনে দু’মিনিটের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে।
- এই নতুন ট্রেনের সুবাদে, বোলপুর ও রামপুরহাটের যাত্রীরা আরও দ্রুত ও আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।
উপসংহার:
হাওড়া-ভাগলপুর-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চালু হওয়ায় বোলপুর ও রামপুরহাটের যাত্রীদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে। এই নতুন ট্রেনটি অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।