Dheu Sagar’ of Digha || দিঘার অন্যতম আকর্ষণ ‘ঢেউ সাগর’ অ্যামিউজমেন্ট পার্ক তিন মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)-এর পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ। উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ এলাকা (সিআরজ়েড) আইন ভেঙে এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে, এই অভিযোগে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ দিতে গিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি) সুপ্রিম কোর্টের তিনটি নির্দেশের উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত বা পুর কর্তৃপক্ষ আইন ভেঙে নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। এনজিটি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢেউ সাগরকে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্যকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি। দিঘার অদূরে যাত্রানালায় সমুদ্রের ধারে এই থিম পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প।
Read More: বর্ধমানের যত্রতত্র অবৈধ বিজ্ঞাপন, পুরসভার রাজস্বে ক্ষতি, বাড়ছে দুর্ঘটনা
Dheu Sagar’ of Digha || দিঘার অদূরে যাত্রানালায় সমুদ্রের ধারে একটা সময়ে ছিল ভাগাড়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ উপলক্ষ্যে সেখানে থিম পার্কের পরিকল্পনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনিই যাত্রানালার নতুন নামকরণ করেছিলেন। ওই এলাকার নাম দেন ‘ঢেউ সাগর’। ২০২০ সালে করোনাবিধি শিথিল হওয়ার পরে কাজ শুরু হয় ওই থিম পার্কের। সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন রাইড এবং সুবিধা রয়েছে। পার্কের মঞ্চে সপ্তাহান্তে হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বর্তমানে আরও কিছু রাইড যোগ করায় পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ‘ঢেউ সাগর’। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (DSDA) এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করেছে।
এনজিটি-র পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণকুমার ভার্মা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশের ফলে দিঘার পর্যটন শিল্পে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।