ভিটামিন ডি-র অভাব: লক্ষণ ও প্রতিরোধ
হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটলে নানা ভাবে শরীর তা জানান দেয়। কোন সঙ্কেতে সতর্ক হওয়া দরকার?
শরীরে প্রতিটি ভিটামিনেরই নিজস্ব ভূমিকা থাকে। কোনও কারণে ভিটামিনের মাত্রা কমে গেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়। তবে এ ছাড়াও কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হওয়া দরকার:
- ক্লান্তি: অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? কাজকর্ম করতে গেলেই আলসেমি লাগছে? কাজ করতে উৎসাহ না পাওয়া, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত বোধ করার একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলেও এমনটা হতে পারে।
- ঘন ঘন অসুস্থতা: দু’দিন অন্তর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? জ্বর, সর্দি, শরীর খারাপ লেগেই আছে? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এমনটা হবে। এই ভিটামিনের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে একাধিক ভিটামিন সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে গেলেও ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন কেউ।
- চুল ঝরছে? হঠাৎ করে গোছা গোছা চুল পড়তে শুরু করলে সজাগ হওয়া দরকার। অনেকেই এটাকে অ্যালোপেশিয়া ভাবেন। কিন্তু হঠাৎ করে অ্যালোপেশিয়া হতে পারে না। বরং ভিটামিন ডি-র অভাবে হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।
- ব্যথা: গায়ে, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, কোমরে প্রায়ই যন্ত্রণা কিন্তু ভিটামিন ডি-এর অভাব থেকে হতে পারে। ঘন ঘন ব্যথাকে অনেকে বাতের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব ঘটলে এমনটা হতে পারে।
- বিষন্নতা: কোনও কারণ ছাড়াই বিষন্নতা গ্রাস করছে? কিছুই ভাল লাগছে না। মনখারাপ, বিষন্নতা, ক্ষেত্রবিশেষে অবসাদের কারণও হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া।
ঘাটতি পূরণ
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণের জন্য গায়ে হালকা রোদ লাগানো ভাল। তবে শুধু সেটাই যথেষ্ট নয়। নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট ও খাবারের তালিকায় মাশরুম, দুগ্ধজাত খাবার, স্যামন, ওট্স, সয়াবিন, কাঠবাদাম রাখলে ভাল। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়েছে কি না।