জরুরি ওষুধের দাম দ্বিগুণ!
শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, মানসিক রোগ, গ্লুকোমা, থ্যালাসেমিয়া— এইসব রোগের জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়, সেগুলির দাম একধাক্কায় প্রায় ৫০% বৃদ্ধি পেল। ভারতের ড্রাগ প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য ওষুধ কেনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
কেন বাড়ল দাম? ফার্মা কোম্পানিগুলি দাবি করেছে যে, এই ওষুধগুলি তৈরির খরচ বেড়ে গিয়েছে। তাই দাম বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধের অভাব হতে পারে।
কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ল?
- বেনজাইল পেনিসিলিন ইনজেকশন
- অ্যাট্রোপিন ইনজেকশন
- স্ট্রেপটোমাইসিন ইনজেকশন
- স্যালবুটামল ট্যাবলেট ও রেসপিরেটর
- পাইলোকারপিন
- সেফাড্রক্সিল ট্যাবলেট
- ডেসফেরিওক্সামিন ইনজেকশন
- লিথিয়াম ট্যাবলেট
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া এবং ওষুধের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা।
বিশেষজ্ঞদের মত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ওষুধ কেনা কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়াও, ওষুধের অভাব হতে পারে।
সরকারের দায়িত্ব সরকারকে এখন এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের উচিত ফার্মা কোম্পানিগুলির সঙ্গে কথা বলে ওষুধের দাম কমানোর চেষ্টা করা। এছাড়াও, সরকারকে সাধারণ মানুষকে সস্তা ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।