ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) সম্প্রতি রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ কমিয়ে ৬.২৫ শতাংশ করেছে। এটি ২০১৭ সালের পর থেকে আরবিআইর প্রথম রিপো রেট কমানো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে এবং অর্থনীতিতে ঋণ বৃদ্ধি পাবে।
এই পদক্ষেপ দেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আসুন, এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
রেপো রেট কী?
রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি RBI থেকে স্বল্পমেয়াদী ঋণ নেয়। যখন RBI রেপো রেট কমায়, তখন ব্যাঙ্কগুলির জন্য ঋণ নেওয়া সস্তা হয়। এর ফলে তারা সাধারণত তাদের গ্রাহকদের জন্য ঋণের সুদের হারও কমিয়ে দেয়।
রেপো রেট কমানোর কারণ:
RBI সাধারণত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য রেপো রেট কমায়। যখন ঋণের সুদের হার কমে, তখন ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হয়। এর ফলে বিনিয়োগ বাড়ে এবং বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়ে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে। সম্প্রতি RBI সম্ভবত এই উদ্দেশ্যেই রেপো রেট কমিয়েছে।
আমাদের জীবনে এর প্রভাব:
রেপো রেট কমানোর বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব আমাদের জীবনে পড়তে পারে:
- ঋণের সুদের হার হ্রাস: গৃহঋণ, গাড়ি ঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার কমতে পারে। এর ফলে আপনার মাসিক কিস্তি কমে যেতে পারে, যা আপনার আর্থিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
- বিনিয়োগে উৎসাহ: সুদের হার কমলে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত শেয়ার বাজার বা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হন, কারণ সেখানে বেশি রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: রেপো রেট কমলে বাজারে অর্থের যোগান বাড়ে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করে। এর ফলে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির উন্নতি হতে পারে।
কিছু সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ:
রেপো রেট কমানোর কিছু চ্যালেঞ্জও থাকতে পারে:
- মুদ্রাস্ফীতি: যদি বাজারে অর্থের যোগান খুব বেশি বেড়ে যায়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, অর্থাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে।