উচ্চ আদালতের রায়ে বকেয়া বেতন পাবেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, পুজোর আগে মিলবে ১৫ বছরের বকেয়া!
দীর্ঘ ১৩ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে স্বস্তি পেলেন এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তিনি পাবেন ১৫ বছরের বকেয়া বেতন। পশ্চিম মেদিনীপুরের মশাগ্রাম শিবানন্দ হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষক শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া ২০০২ সালে এমএ পাশ করার পর থেকে উচ্চ স্তরের বেতনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ তাঁর আবেদন নাকচ করে দেয়।
এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখরবাবু। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শেখরবাবুর বকেয়া বেতন ও যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে।
কী বলেছেন বিচারপতি?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে বলেন, স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পাশ করার দিন থেকে সেই স্তরের বেতন পাবেন শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া। আদালতের মতে, ২০০৫ সালের নতুন বিদ্যালয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নিয়ম চালু হওয়ার পরে শেখর আবেদন করেন, তাই নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁর উচ্চ স্তরের বেতনের আবেদন নাকচ করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের মতে, ২০০২ সালে যখন মামলাকারী স্নাতোকত্তর পাশ করেন, তার পর থেকে ২০১৭ সালে তাঁর অবসর পর্যন্ত উচ্চ হারে বেতন পাওয়ার যোগ্য তিনি।
এই রায়ে খুশি শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে এই মামলা লড়াই করেছি। অবশেষে আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। পুজোর আগে এই বড় উপহার পেয়ে আমি খুব খুশি।”
বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি খারিজ:
বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ ২০০৫ সালের নতুন নিয়মের যুক্তি দেখিয়ে শেখরবাবুর আবেদন নাকচ করেছিল। কিন্তু আদালত এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের মতে, ২০০২ সালে যখন মামলাকারী স্নাতোকত্তর পাশ করেন, সেই সময় এই নিয়ম ছিল না। তাই তিনি উচ্চ স্তরের বেতনের যোগ্য।