কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ নতুন করে উৎসাহিত করেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় নিহত তরুণীর মা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত তাদের মনে নতুন করে বিচার পাওয়ার আশা জাগিয়েছে।
তিনি বলেন, “মেয়ের মৃতদেহ দাহ করার তিন ঘণ্টা পরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এই দেরির বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রশ্ন উঠেছে।” আন্দোলনকারীদের উপর বল প্রয়োগ না করার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই মামলার অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তিনি আরও বলেন, “সমস্ত রাজ্যবাসী এবং দেশবাসীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমরা যতক্ষণ বিচার না পাই, সবাই সত্য জানার এবং বিচারের দাবি জানিয়ে যান।”
দিনটিতে রাজ্যপাল সি. ভি. আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাবা-মাকে ফোন করেছিলেন। এই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, আপনি হিম্মত রাখুন। আমাদের যত দূর যাওয়ার, যাব। আপনি ন্যায় বিচার পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “সিবিআইকে আমরা সেই সময়ের অধ্যক্ষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার এবং এমএসভিপি-সহ বিভাগের সবার নামে বলেছি। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রমাণ লোপাট করাও সংবিধানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা যাওয়ার পরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষ আমাদের সঙ্গে একবারও কথা বলেননি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের ধারণা, অধ্যক্ষ কিছু লুকনোর চেষ্টা করছিলেন। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে আসল দোষী বলে আমরা মনে করি না।”
আরজি করের নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন যে, সিবিআই তাদের জানিয়েছে যে এই তদন্ত একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “সিবিআই বলেছে, আমাদের সময় দিন, ভরসা রাখুন। আমরা আস্থা রাখছি।”