পশ্চিম বর্ধমানে সিলিকোসিস আতঙ্ক, আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সিলিকোসিস আতঙ্ক। সম্প্রতি সালানপুরে এক ব্যক্তির কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয় ও বেশ কয়েকজনের শরীরে এই রোগের সংক্রমণের খবর মেলায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন। তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শেখ মহম্মদ ইউনুস জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় সিলিকোসিস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে একটি সিলিকোসিস মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সম্ভাব্য আক্রান্তদের ওই বোর্ডের সামনে হাজির করানো হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সালানপুরের জেমারির যে ব্যক্তি সিলিকোসিসের সংক্রমণে মারা যান, তিনি এলাকার একটি পাথর ভাঙার কলে কাজ করতেন। পাথর ভাঙার সময়ে সাদা গুঁড়ো নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে ফুসফসে সংক্রমণ তৈরি করে। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ধামানবেড়িয়া ও জেমারি মৌজায় এ রকম চারটি পাথর ভাঙার কল রয়েছে। ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই কলগুলিতে যাঁরা কাজ করেন, শুধু তাঁরাই ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন, তা নয়। সেখানকার দূষণ গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষজনও আক্রান্ত হচ্ছেন।
ক্রমশ বাড়তে থাকা সিলিকোসিস আক্রান্তের সংখ্যায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত এর মোকাবিলা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।