HomeBusiness & Economyট্যাক্স বাঁচানোর কিছু সহজ উপায়

ট্যাক্স বাঁচানোর কিছু সহজ উপায়

WhatsApp Group Join Now

আয়কর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং প্রত্যেক করদাতাই চান কিভাবে বৈধভাবে তাদের করের পরিমাণ কমানো যায়। কিছু নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার করের বোঝা অনেকটাই কমাতে পারেন। আমরা কিছু কার্যকরী টিপস নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাকে ট্যাক্স বাঁচাতে সাহায্য করবে।

বিভিন্ন কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগের উপায়:

আয়কর আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে যা আপনাকে কর বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। এদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল:

  • পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF): পিপিএফ একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে আপনি প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করতে পারেন। এই বিনিয়োগের উপর আপনি আয়কর ছাড় পেতে পারেন এবং এর মেয়াদ ১৫ বছর। পিপিএফ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগ।

  • এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF): ইপিএফ হল একটি অবসরকালীন সঞ্চয় প্রকল্প, যা সাধারণত চাকরিজীবীরা তাদের বেতনের একটি অংশ কেটে এই ফান্ডে জমা করেন। এই বিনিয়োগেও কর ছাড় পাওয়া যায়।

  • ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS): এনপিএস একটি অবসরকালীন পরিকল্পনা, যা সরকারের দ্বারা পরিচালিত। এখানে বিনিয়োগ করলে আপনি আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।

  • জীবন বীমা পলিসি: জীবন বীমা পলিসি কেবল আপনার পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে না, এর পাশাপাশি এটি কর সাশ্রয়েও সাহায্য করে। প্রিমিয়াম পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন।

  • ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS): ইএলএসএস হল এক প্রকার মিউচুয়াল ফান্ড, যেখানে বিনিয়োগ করলে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। তবে, এই বিনিয়োগের মেয়াদ অন্যান্য কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগের তুলনায় কম, সাধারণত তিন বছর।

  • হোম লোন: বাড়ি কেনার জন্য হোম লোন নিলে, আপনি এর সুদ এবং আসল পরিশোধের উপর কর ছাড় পেতে পারেন।

  • শিক্ষা ঋণ: সন্তানের শিক্ষা গ্রহণের জন্য যদি আপনি শিক্ষা ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ঋণের সুদ পরিশোধের উপর আপনি কর ছাড় পেতে পারেন।

  • দান করুন: কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দান করলে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন।

  • ৮০সি, ৮০ডি, এবং অন্যান্য ধারা: আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারা যেমন ৮০সি, ৮০ডি, ইত্যাদি আপনাকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর ছাড় পেতে সাহায্য করে। যেমন, ৮০সি ধারার অধীনে আপনি পিপিএফ, ইপিএফ, জীবন বীমা, ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করে কর ছাড় পেতে পারেন। অন্যদিকে, ৮০ডি ধারার অধীনে আপনি স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধের উপর কর ছাড় পেতে পারেন।

  • এছাড়াও আরও কিছু ক্ষেত্রে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন, যেমন – শিশুদের টিউশন ফি, কিছু নির্দিষ্ট ভাতা, ইত্যাদি। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আপনি আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন অথবা একজন কর পরামর্শকের সাহায্য নিতে পারেন
  • কর ছাড় পাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
  • আপনার সমস্ত বিনিয়োগ এবং খরচের হিসাব রাখুন।
  • কর সংক্রান্ত নতুন নিয়ম এবং পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত থাকুন।

কিভাবে বিনিয়োগ করবেন?

কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগ করার আগে, আপনার আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এই বিনিয়োগগুলির মধ্যে যে কোনও একটি বা একাধিক বিকল্প বেছে নিতে পারেন। আপনি ব্যাংক, পোস্ট অফিস, মিউচুয়াল ফান্ড হাউস এবং বীমা কোম্পানির মাধ্যমে এই বিনিয়োগগুলি করতে পারেন।

উপসংহার:

কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগ আপনার আর্থিক পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিনিয়োগগুলি কেবল আপনাকে কর বাঁচাতে সাহায্য করে না, বরং আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও সহায়ক। তবে, বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। কর সংক্রান্ত বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন

WhatsApp Group Join Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular