এবাদত ইসলাম ১৯ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দোরগোড়ায় শারদোৎসব। তার আগে DVC-র ছাড়া জলে কার্যত বানভাসি পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু অংশ। কোনও কোনও জায়গায় দামোদর উপচে জল পৌঁছে গিয়েছে গৃহস্থের বাড়ির একেবারে দুয়ারে। আবার কোথাও দামোদর উপচে পড়া জলে থই থই গ্রামের পর গ্রাম। আজ জামালপুর ব্লকে এসে তিনি জোতশ্রীরামের সাহোসেনপুরে বন্যা কবলিত মানুষগুলির জন্য তৈরি আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি খোঁজখবর নেন তিনি। সকলের ঠিক ঠাক খাবার পাচ্ছেন কিনা কিংবা অন্য কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। পুরো বিষয় দেখার পর ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ডিভিসি অন্যায় ভাবে জল ছেড়ে রাজ্যকে বিপদে ফেলেছে। কিন্তু যতদিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ততদিন রাজ্যের মানুষের কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যাদের চাষের জমি জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে তাঁদের শস্য বীমা করার জন্য নিদান দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধীপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, অতিরিক্ত জেলা শাসক উন্নয়ন প্রসেনজিৎ দাস, সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, বিডিও পার্থ সারথী দে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, জেলা পরিষদের প্রাক্তন মেন্টর উজ্বল প্রামাণিক,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, অঞ্চল সভাপতি তপন দে সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।