বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ হাতানোর মামলায় আরও দুই গ্রেফতার, সিআইডির জালে বড় মাছ
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা হাতানোর চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতরা হলেন প্রণবকুমার ঘোষ ও মনোজিৎ সেন। সিআইডির দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, হাতিয়ে নেওয়া টাকার একাংশ এই দুইজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল।
শনিবার সিআইডি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায়। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজারসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানতের কোটি টাকা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর থেকেই তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।
কী ঘটেছিল?
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা ছিল ১ কোটি ৯৩ লক্ষাধিক টাকা। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেই টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সিআইডির তদন্ত:
সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত। সিআইডি ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজারসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ব্যাঙ্ক থেকে কম্পিউটার ও অন্যান্য নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
ধৃত দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হাতিয়ে নেওয়া টাকার একাংশ তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা করেছিল। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণবকুমার ঘোষের অ্যাকাউন্টে ছয় লক্ষ টাকা এবং মনোজিৎ সেনের অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা পড়েছিল।