UCO Bank Update || রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউকো ব্যাঙ্ক কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর ২৭০ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ২,৭০০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব ৭৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ধারণা, চলতি অর্থবছরে শেয়ার বিক্রির এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই নির্ধারিত সীমায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। সোমবার জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশের সময় ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অশ্বিনী কুমার এই তথ্য জানান।
অশ্বিনী কুমার বলেন, ‘গত অর্থবছরে কিউআইপি (কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্ট)-এর মাধ্যমে বাজার থেকে ২ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাঙ্কে সরকারি অংশীদারিত্ব আরও কমানোর জন্য ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর ২৭০ কোটি শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
Read Also: UCO Bank high-level recruitment || সিনিয়র-লেভেল পদে নিয়োগ
UCO Bank Update || ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ইউকো ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৬৫.৭২ কোটি টাকা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কটি ৫৩৭.৮৬ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছিল। গত অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে ব্যাঙ্কটির মোট আয় ছিল ৮,১৩৬ কোটি টাকা। গত তিন মাসে ব্যাঙ্কটির নিট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ এক বছর আগের ৩.৪৬ শতাংশ থেকে কমে ২.৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
UCO Bank Update || ব্যাঙ্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অশ্বিনী কুমার আরও বলেন, ‘পরিচালন পর্ষদ চলতি অর্থবছরে ব্যাঙ্কের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ৪৩টি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এর ব্যবহার ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, ২৫০টি ব্যাঙ্কের শাখা পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।’
দেশের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে (এমএসএমই) আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ইউকো ব্যাঙ্ক সারা দেশে ৫৫টি এমএসএমই হাব চালু করেছে। প্রয়োজন হলে আরও কেন্দ্র খোলা হবে বলেও তিনি জানান।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউকো ব্যাঙ্ক বকেয়া ৪,৪২৯ কোটি টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। গত অর্থবছরে ৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে ৪,৪০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
UCO Bank Update || অশ্বিনী কুমার জানান, ‘চলতি অর্থবছরে বকেয়া ঋণ বাবদ ২,২০০ থেকে ২,৫০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।’ এমএসএমই sector-কে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ইউকো ব্যাঙ্ক ১১টি নতুন প্রকল্প শুরু করেছে। এই উদ্দেশ্যে ফিনটেক এবং এনবিএফসি মিলিয়ে সাতটি কো-লেন্ডিং পার্টনারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাঙ্ক।
