বাড়ির ভিতরেও বায়ু দূষণের হাত থেকে বাঁচার উপায়
দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজের ফলে আমাদের বাড়ির ভিতরেও বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এই দূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বেঙ্গালুরুর পালমোনোলজি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ শচীন কুমারের মতে, বাড়ির ভিতরে বায়ু দূষণ কমাতে আমাদের কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চলা উচিত।
বিস্তারিত:
আমরা প্রায়ই মনে করি বাড়ি মানে নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু বাস্তবে আমাদের বাড়ির ভিতরেও বায়ু দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। রান্না, পরিষ্কার করা, ধূপ জ্বালানো, এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময়ও আমরা বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শরীরে নিচ্ছি। এই দূষণ আমাদের শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত করতে পারে।
বাড়ির ভিতরে বায়ু দূষণ কমানোর উপায়:
- অভ্যন্তরীণ দূষণের উত্সগুলি উপেক্ষা করা: রান্না করার সময় যে তেল ব্যবহার করা হয়, ধূপ বা মোমবাতি জ্বালানো, রাসায়নিকযুক্ত পরিষ্কারের পণ্য ব্যবহার করা – এসবই বাড়ির ভিতরে বায়ু দূষণের কারণ। তাই প্রাকৃতিক পরিষ্কারের পণ্য ব্যবহার করা উচিত এবং বাড়িতে ভালো করে বাতাস চলাচল করানো উচিত।
- দুর্বল বাড়ির বায়ুচলাচল: শীতকালে অনেকেই দরজা-জানালা বন্ধ রাখে। কিন্তু এতে বাড়ির ভিতরে দূষিত বাতাস জমে যায়। তাই নিয়মিত বাড়িতে বাতাস চলাচল করানো জরুরি।
- বাড়ির অভ্যন্তরে ধূমপান: সিগারেটের ধোঁয়া বাড়ির ভিতরে বায়ুর গুণমানকে খুব খারাপ করে দেয়। তাই বাড়ির ভিতরে ধূমপান করা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
- এইচভিএসি সিস্টেমগুলির রক্ষণাবেক্ষণকে অবহেলা করা: এইচভিএসি সিস্টেম নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তাতে ধূলাবালি জমে যায় এবং তা বাড়ির ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে।
- বাইরে মাস্ক না পরা: বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরলে ধূলাবালি এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
উপসংহার:
বাড়ির ভিতরে বায়ু দূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই উপরোক্ত নিয়মগুলি মেনে চলে আমরা বাড়ির ভিতরে বায়ুর গুণমান উন্নত করতে পারি এবং সুস্থ থাকতে পারি।