ঝাঁকুনিতে বিপদ সঙ্কেত: নতুন অ্যাপে আশা
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জেরে তৈরি হল নতুন একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের দাবি, মাত্র একটা ঝাঁকুনিতে বিপদের বার্তা পৌঁছে যাবে পুলিশ থেকে শুরু করে কাছের মানুষের কাছে।
নিউ আলিপুরের একটি প্রযুক্তি সংস্থার তিন যুবক মিলে এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। তাদের দাবি, এই অ্যাপটি মোবাইল ফোনের সেন্সর ব্যবহার করে ঝাঁকুনি অনুভব করবে এবং তাড়াতাড়ি বিপদের সংকেত পাঠিয়ে দেবে।
কীভাবে কাজ করবে এই অ্যাপ?
- সহজ ডাউনলোড: এই অ্যাপটি প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোর থেকে সহজেই ডাউনলোড করা যাবে।
- লোকেশন ট্র্যাকিং: অ্যাপটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং শুরু হয়ে যাবে।
- ব্লুটুথ কানেকশন: যদি মোবাইল ফোনটি কোনও ব্লুটুথ ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তাহলে ৪০ মিটার পর্যন্ত দূরত্ব থেকেও বিপদের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র মোবাইলটি ঝাঁকুনি খাবে।
- ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং: মোবাইল ফোনটি বার করার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরায় ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং শুরু হবে এবং তা আগে থেকে বেছে রাখা পাঁচটি নম্বরে পাঠিয়ে দেবে।
- কি রিং: মোবাইল ফোনটি না বার করতে পারলেও, পকেটে থাকা কি রিংটির বোতাম চাপলেও একইভাবে বিপদের সংকেত পাঠানো যাবে।
- বাড়ির বাল্ব: বাড়িতে একটি বিশেষ ধরনের বাল্ব থাকবে যা বিপদের সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে এবং একটি বিশেষ শব্দ করবে।
- প্রমাণ সংরক্ষণ: এই অ্যাপটি শুধু বিপদের সংকেত পাঠানোই নয়, প্রমাণও সংরক্ষণ করবে।
উদ্ভাবকদের কথা
এই অ্যাপটি তৈরি করা তিন যুবকের মধ্যে ইন্দ্রনীল দাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর থেকে আমরা এই ধরনের একটি অ্যাপ তৈরির চেষ্টা করছিলাম। আশা করি এই অ্যাপটি মানুষকে বিপদের সময় সাহায্য করবে।”
রাজ্য সরকারের ‘রাত্রি সাথী’ অ্যাপের সঙ্গে পার্থক্য
ইন্দ্রনীল দাস বলেন, “রাত্রি সাথী অ্যাপটি ব্যবহার করতে সময় লাগে। বিপদের সময় কেউ কি মোবাইল বার করে অ্যাপটি খুলবে? আমাদের এই অ্যাপটি মাত্র একটা ঝাঁকুনিতে কাজ করবে।”
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
এই অ্যাপটির উদ্ভাবকরা এখন এই অ্যাপটির অনুমোদন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তারা আশা করছেন, এই অ্যাপটি শীঘ্রই সবার জন্য উপলব্ধ হবে।