WB Budget || আজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য বাজেট পেশ করেছে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন। এবারের বাজেটে উন্নয়ন ও জনকল্যাণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এক নজরে বাজেট
- রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি কমেছে: ২০১০-১১ সালে এই ঘাটতি ছিল ৪.২৪% ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩.২৭ শতাংশে।
- ঘাটাল মাস্টার প্লান মোট বরাদ্দ ১৫০০ কোটি টাকা, এই বছর ৫০০ কোটি ও পরের বছরে বাকি টাকা দেওয়া হবে, ২ বছরের মধ্যে শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্লান
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি কর্মীরা উপকৃত হবেন।
- কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন: কৃষি ও গ্রামোন্নয়নের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প এবং গ্রামোন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছে।
- শিল্প ও কর্মসংস্থান: কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। শিল্প, বাণিজ্য এবং উদ্যোগ ক্ষেত্রে ১৪৭৭.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা নতুন শিল্প স্থাপন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
- মহিলা ও শিশু উন্নয়ন: মহিলা ও শিশু উন্নয়নের জন্য একাধিক নতুন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের জন্য ৩৮,৭৬২.০৩ কোটি টাকা।
- বাংলার বাড়ি: “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য ৯,৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছে।
- পরিবেশ সুরক্ষায় জোর: বাজেটে সবুজ উদ্যোগের উপর বিশেষ নজ
নদী ভাঙন রোধে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
রাত্তিরের সাথী,হেল্পার্স অফ দি নাইট বরাদ্দ ১৫৭ কোটি টাকা
স্কুল শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ৪১,১৫৩.৭৯ কোটি
উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য আগামী অর্থবছরে ৬৫৯৩.৫৮ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব
পথশ্রী প্রকল্পে ১৫০০ কোটি টাকা রবাদ্দ
WB Budget || বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া:
বাজেট পেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই বাজেট জনকল্যাণমুখী এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে এবং তাদের জন্য কাজ করে যাবে।”
অর্থনীতিবিদ ডঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য মনে করেন, “এই বাজেটটি বাস্তববাদী এবং জনমুখী। কৃষি, গ্রামোন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়ায় রাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজের দুর্বল অংশের মানুষ উপকৃত হবে।”
তবে, কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এই বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তারা মনে করেন, বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
তবে, বিরোধী দলগুলি বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, “বাজেটে নতুন কিছু নেই এবং এটি শুধু মাত্র একটি লোক দেখানো।”
বাজেট এর কপি ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন