ঘাটতি বাজেট কি ও কেনো হয়??
ঘাটতি বাজেট হলো যখন কোনো দেশের সরকারের বছরের বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি থাকে। সহজ কথায়, যখন সরকারের আয়ের পরিমাণ তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়ে কম হয়, তখন ঘাটতি বাজেট তৈরি হয়।
ঘাটতি বাজেটের কারণ:
- অর্থনৈতিক মন্দা: যখন অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়, তখন সরকারের আয় কমে যায়। এর ফলে ঘাটতি বাজেট তৈরি হতে পারে।
- উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। সরকার যখন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ায়, তখন ঘাটতি বাজেট তৈরি হতে পারে।
- কর হ্রাস: সরকার যখন জনগণের উপর করের বোঝা কমিয়ে দেয়, তখন তার আয় কমে যায়। এর ফলে ঘাটতি বাজেট তৈরি হতে পারে।
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: সরকার যখন জনগণের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে, তখন তার ব্যয় বেড়ে যায়। এর ফলে ঘাটতি বাজেট তৈরি হতে পারে।
ঘাটতি বাজেটের প্রভাব:
- জাতীয় ঋণ বৃদ্ধি: ঘাটতি বাজেট পূরণ করার জন্য সরকারকে ঋণ নিতে হয়। এর ফলে জাতীয় ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
- মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি: ঘাটতি বাজেট মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে।
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস: ঘাটতি বাজেট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের একটি কারণ হতে পারে।
ঘাটতি বাজেট ব্যবস্থাপনা:
- ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: সরকারকে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
- আয় বৃদ্ধি: সরকারকে করদানকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কর আদায়ের ব্যবস্থা উন্নত করে আয় বৃদ্ধি করতে হয়।
- ঋণ ব্যবস্থাপনা: সরকারকে ঋণের সুদের হার কমিয়ে ঋণ ব্যবস্থাপনা করতে হয়।
উল্লেখ্য যে, ঘাটতি বাজেট সবসময় খারাপ নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য ঘাটতি বাজেট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ঘাটতি বাজেট দীর্ঘায়িত হলে তা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।