শুভেন্দুর চাপেই কি সোমবার সন্দেশখালি যাবেন রাজ্যপাল?
কলকাতা: সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে কলকাতায় ফিরে রাজ্যপাল সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালি যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপাল দ্রুত পদক্ষেপ না করলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যাবেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এর পরেই রাজভবনের এই তৎপরতা নজরে এল।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল এখন কেরলে রয়েছেন। সেখানে বাঙালিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সন্দেশখালির পরিস্থিতি যে দিকে গড়িয়েছে, তাতে তিনি কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা তাঁর। তার পর সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল রওনা দেবেন বলে জানিয়েছে রাজভবনের সূত্র।
শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের থেকে সবিস্তার রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। সন্দেশখালির ঘটনাবলী নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারেরও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ও রাজ্যপালের বিবৃতি
শনিবার দুপুরে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন শুভেন্দু। সেখানে ধর্নায় বসে রাজ্যপালকে ‘সময়সীমা’ বেঁধে দেন তিনি। বাম আমলের নন্দীগ্রামের সঙ্গে এখনকার সন্দেশখালির তুলনা টেনে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, এলাকা দখলের জন্য পুলিশ ও তৃণমূলের বাহিনী হাত মিলিয়েছে। নন্দীগ্রামে সিপিএম যা করেছিল।
ঘটনাচক্রে, শুভেন্দুর ওই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতে বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, সন্দেশখালিতে ‘গুন্ডারাজ’ চলছে। সরকারের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।